সাংস্কৃতিক বিকাশে সমাজের বুদ্ধিদীপ্ত মানুষদেরই ভূমিকা রাখতে হয়। তাই আগামীর পথচলায় এ সংগঠন উত্তর প্রজন্ম তৈরির সোপান হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
‘সংস্কৃতি বিকাশে সাম্যের জয়গানে’ শ্লোগানে সামাজিক ঐক্য-সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যরে বাতাবরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিভাবান বৌদ্ধ শিল্পীদের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ শিল্পী সম্মিলন পরিষদ’। সাংস্কৃতিক বিকাশে সমাজের বুদ্ধিদীপ্ত মানুষদেরই ভূমিকা রাখতে হয়। তাই আগামীর পথচলায় এ সংগঠন উত্তর প্রজন্ম তৈরির সোপান হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

আজ শনিবার (২৩ আগস্ট ২০২৫), বিকেলে অনুষ্ঠিত নগরের নন্দনকানস্থ থিয়েটার ইন্স্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) অডিটোরিয়ামে সংগঠনের প্রথম সম্মেলন, অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা : ‘নব রবে অরুণোদয়ে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি সংগীতশিল্পী বিপুল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিষেক পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য যুগ্মসচিব সুমন বড়ুয়া। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের প্রাক্তন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নবনির্বাচিত মহাসচিব গীতিকার ও নাট্যনির্মাতা শ্যামল চৌধুরী।

প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা অশোক বড়ুয়া, আলোচকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মাছরাঙা টেলিভিশন এর নির্বাহী প্রযোজক ও নির্মাতা স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া, সংগীতশিল্পী-সুরকার-সংগীত পরিচালক পরমেশ বড়ুয়া ও অ্যাভাগার্ড এর সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার-অভিনেতা সুমন টিংকু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুপ্রিয় কুমার বড়ুয়া ও সঞ্চারী বড়ুয়া সাচী। সবশেষে অনুষ্ঠানে সদস্যদের অভিষেক পর্বে শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের উপদেষ্টা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অশোক বড়ুয়া।

২য় পর্বে সংগঠনের অর্ধশতাধিক শিল্পীর পরিবেশনায় ‘সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা : নব রবে অরুণোদয়ে’ অনুষ্ঠানে ছিল আবৃত্তি, গান, নৃত্য ও নাটিকা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইলা বড়ুয়া ও সেঁজুতি বড়ুয়া। এছাড়াও ছিলেন আবৃত্তি নির্দেশনায় বনকুসুম বড়ুয়া, সঙ্গীত পরিচালনায় জুসি বড়ুয়া, নৃত্য পরিচালনায় অনন্য বড়ুয়া, শিল্প নির্দেশনায় হেমা বড়ুয়া, নাট্য নির্দেশনায় সীমান্ত বড়ুয়া ও তথ্যচিত্র রচনায় সেঁজুতি বড়ুয়া। অভিনয়ে ছিলেন ড. বিকিরণ বড়ুয়া, হেমা বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া সাজু, সৌহার্দ্য বড়ুয়া ও সীমান্ত বড়ুয়া।
